Posts

Showing posts from October, 2019

মুখের ঘা/শীতে মুখের ঘা রোধ করুন

Image
শীতে মুখের ঘা রোধ করুন  শীতে প্রায় লোকেরই মুখে ঘা দেখা যায়। যা কথা বলা থেকে শুরু করে খাবার-দাবারে বিরূপ প্রভাব ফেলে। অনেকেই একে সিজনাল সমস্যা হিসেবে দেখেন। অনেকেই ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে থেমে যান। বড়জোর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তবে এ সমস্যার সমাধান সামনে নিয়ে এসেছে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। মুখের ঘায়ের চিকিৎসা করতে অভিনব জীবাণু ধ্বংসকারী (বায়োডিগ্রেডেবল) প্রলেপ (প্যাচ) উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রলেপ মুখের ভেতর প্লাস্টার বা উপলেপনের মতো কাজ করে এবং মুখের ভেতর এঁটে থাকে। এভাবেই তা মুখের ঘায়ের চিকিৎসায় সাহায্য করে। এই জীবাণু ধ্বংসকারী প্রলেপ আর্দ্র পিঠে এঁটে থাকতে পারে। এটি সরাসরি সফলভাবে মুখের ঘায়ে স্টেরয়েড অনুপ্রবেশ ঘটাতে পারে। প্রলেপটি মুখের ঘায়ের ক্ষত থাকাকালীন ক্ষতের চতুর্দিকে প্রতিরক্ষামূলক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। এভাবে ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। গবেষকরা বলছেন, ‘এই প্রলেপের দীর্ঘসময় এঁটে থাকার সক্ষমতা ও উচ্চ নমনীয়তা রয়েছে। তাই এটি মুখ গহ্বরের ভেতর আর্দ্র পিঠে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে।’ বায়োমেটেরিয়ালস জার্নালে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত গবেষণা ...

দিগন্ত কুমার রায়/Diganta Kumar Roy/দিগন্ত/DIGANTA

Image
দিগন্ত কুমার রায় প্রভাষক, গাজীপুর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, পিতা: দীপেন্দ্র নাথ রায় মাতা: কৃষ্ণা রানী গ্রাম: উত্তর দলগ্রাম, পোস্ট: দলগ্রাম, উপজেলা: কালীগঞ্জ, জেলা: লালমনিরহাট। শিক্ষা ও কর্মজীবন: 2014 সনে সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে সিজিপিএ 3.56 (4.00) নিয়ে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর), 2013 সনে সিজিপিএ 3.43 (4.00) নিয়ে অনার্স (সম্মান), 2009 সনে শামছুদ্দিন-কমরউদ্দীন ডিগ্রী কলেজ থেকে 3.70 (5.00) নিয়ে উচ্চ-মাধ্যমিক ও 2007 সনে দলগ্রাম দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ 4.19 (5.00) নিয়ে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমানে গাজীপুর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। প্রিয় খেলা: ক্রিকেট। রক্তের গ্রপ: এ পজেটিভ। “বাধন”, সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার আজীবন সদস্য। শখ: ইন্টারনেট ব্রাউজিং।।

নরেন্দ্র মোদী/Narendra Modi

Image
                  নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী   ( গুজরাটি : નરેન્દ્ર દામોદરદાસ મોદી ; উচ্চারণ শুনুন   ( সাহায্য · তথ্য ) , জন্ম ১৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯৫০) ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী। এই রাজনীতিবিদ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ষোড়শ সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে বহুমতের দ্বারা জয়লাভ লাভ করেন এবং ২৬শে মে ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি গুজরাটের চতুর্দশ মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মোদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ নামক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের একজন সদস্য এবং সংবাদমাধ্যম ও বিদগ্ধজনের মতো তিনি নিজেকে একজন হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে দাবী করেন। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের গুজরাত দাঙ্গার ঘটনায় তার প্রশাসন সমালোচিত হওয়ায় ভারত ও বিদেশে তার সমালোচনা হয়। কিন্তু গুজরাটের অর্থনৈতিক উন্নতির বৃদ্ধিতে সহায়ক পরিবেশ গঠনের জন্য তিনি তার আর্থিক নীতির জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। অন্যদিকে তার রাজ্যের মানবোন্নয়নের ওপর গঠনমূলক প্রভাব বিস্তারে তার প্রশাসনে্...

পৃথিবীর উৎপত্তি হয়েছিল কিভাবে?

পৃথিবীর উৎপত্তি হয়েছিল কিভাবে? বিজ্ঞানীদের ধারণা, কোটি কোটি বছর পূর্বে ছোট অথচ ভীষণ ভারী ও গরম একটা বস্তুপিন্ড বিস্ফোরিত হয়ে সকল দিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এ বিস্ফোরণ কে বলা হয় মহাবিস্ফোরণ বা বিগ ব্যাং। মহাবিশ্বের সকল শক্তি, পদার্থ এবং মহাকাশের সবকিছুর সৃষ্টি এই বিস্ফোরণ থেকে। মহাবিস্ফোরণের পর মহাকাশ বিভিন্ন গ্যাস ও ধূলিকণার মেঘে পরিপূর্ণ ছিল। এই মেঘকে বলা হয় নেবুলা। মহাকর্ষের কারণে এই গ্যাস ও ধূলিকণা গুলো পরস্পরের নিকটবর্তী হয়ে একসময় প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এদের কেন্দ্রীয় অংশের তাপমাত্রা ২০০,০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মত হলে হাইড্রোজেন পরমাণুর মধ্যে ফিউশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফলে নিঃসৃত হতে থাকে বিপুল পরিমাণ তাপ ও আলোক শক্তি। এভাবেই সৃষ্টি হয় মহাবিশ্বের প্রথম নক্ষত্রের। একই প্রক্রিয়ায় মহাবিশ্বের সকল নক্ষত্রেরও সৃষ্টি হয়। আমাদের সৌরজগতের সূর্য এমনই একটি নক্ষত্র। নতুন জন্ম নেওয়া সূর্যের চারপাশেও ছিল গ্যাস ও ধূলিকণার মেঘ। যা থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহের সৃষ্টি হয়। প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে এই ঘূর্ণায়মান গ্যাস ও ধূলিকণা একত্রিত হয়েই সৃষ্টি হয়েছিলো...

পৃথিবী কেন ঘোরে?

পৃথিবী কেন ঘোরে? এরিস্টটল ও টলেমি বলেছিলেন, ‘পৃথিবী স্থির। মহাবিশ্বের কেন্দ্র হচ্ছে এই পৃথিবী। একে কেন্দ্র করে অবিরাম ঘুরে চলেছে সূর্য ও অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্র। ‘পৃথিবী স্থির না গতিশীল-এ নিয়ে অতীতে বিজ্ঞানীদের মাঝে কম তর্কবিতর্ক হয়নি। কারণ, তখন পৃথিবী ও সৌর জগত সম্পর্কে মানুষের ধারণা ছিল অনুমান ও দার্শনিক ভাবানুবাদ সম্পর্কিত। ১৬০৯ সালে বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার জ্যোতির্বিজ্ঞানে আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে আসে। গ্যালিলিও দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করে গ্রহ নক্ষত্রগুলো পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেন। পরবর্তীতে এরিস্টটল ও টলেমির চার হাজার বছরের পুরানো প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক তত্বকে ভুল প্রমাণ করে কোপার্নিকাস ও গ্যালিলিও বলেন, সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র আসলে সূর্য। পৃথিবী তাকে অনুসরণ করে মাত্র। একসময় বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন, পৃথিবী কেবল সূর্যের চারদিকে নয়, নিজ অক্ষের উপরও প্রতিনিয়ত ঘুরছে। কিন্তু পৃথিবীর এই ঘূর্ণনের কারণ কি? সৃষ্টির শুরু থেকেই কি পৃথিবী এই একই গতিতে অবিরাম ঘুরে চলেছে? নাকি এই ঘূর্ণন সময়ের সাথে বৃদ্ধি বা হ্রাস পাচ্ছে? পৃথিবীর এই বিরামহীন ঘূর্ণনের কারণ নিয়ে আলোচনা করার ...

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসঃ সুবিধা ও অসুবিধা

  মাল্টিমিডিয়া ক্লাসঃ সুবিধা ও অসুবিধা মাল্টিমিডিয়া ক্লাস : মাল্টিমিডিয়া ক্লাস অর্থ বহু মাধ্যম যোগে পরিচালিত শ্রেণীকার্যক্রম। মাল্টিমিডিয়া হ’তে হ’লে তিনটি জিনিস লাগে। ১.বর্ণ (লেখা)  ২. চিত্র/ছবি ৩. শব্দ। এরূপ ক্লাসে বর্ণ বা লেখা (Text), চিত্র (Graphics) ও শব্দ (sound) যোগে পাওয়ার পয়েন্টে সলাইড তৈরি করে উপস্থাপন করতে হয়। একটি শ্রেণিপাঠে সাধারণত ১০ থেকে ২০টা সলাইডই যথেষ্ট। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিতে হ’লে শ্রেণীকক্ষে বিদ্যুৎ, ১টি ল্যাপটপ, ১টি প্রজেক্টর ও একটি সাদা স্ক্রীন অথবা দেয়াল থাকা আবশ্যক। ICT ট্রেনিং-এর মাধ্যমে শিক্ষকদের এ বিষয়ে দক্ষ করার চেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে অব্যাহত রয়েছে। এই ক্লাস নেওয়ার সময় সলাইডে প্রদর্শিত স্বাগতম, পরিচিতি, শিখনফল ইত্যাদি যা থাকে শ্রেণীকক্ষে তা দেখানো যাবে না। বরং পাঠ ঘোষণা থেকে বাড়ির কাজ পর্যন্ত দেখাতে হবে। অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির পাঠদানের সকল প্রক্রিয়াই মাল্টিমিডিয়া ক্লাসে প্রযোজ্য। এখানেও শিক্ষক সময় বিভাজন করে পাঠ্য বই ধরে আলোচনা করবেন। প্রয়োজনীয় চিত্র ও ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে পর্দায় দেখাবেন। পর্দায় একক, জোড়ায় ও দলগত কাজের...

সৃজনশীল প্রশ্ন, মানমণ্টন

সৃজনশীল প্রশ্ন, মানমণ্টন সৃজনশীল প্রশ্নের ভিত্তিতে এদেশে লেখাপড়া শুরু হয় ২০০৮ সাল থেকে এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। শুরুতে নাম ছিল কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন। এ নামেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের প্রস্তাব অনুযায়ী নাম পরিবর্তন করে ‘সৃজনশীল প্রশ্ন’ নামকরণ করা হয়। বৃটিশ শিক্ষাবিদ বেঞ্জামিন ব্লুম বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে মানুষের চিন্তন দক্ষতার ছয়টি স্তরের কথা বলেছিলেন। যথা : জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়ন। ব্লুমের বিভাজনে পরবর্তীতে আরেকটু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যথা : স্মরণ করা, বুঝতে পারা, প্রয়োগ করা, বিশ্লেষণ করা. মূল্যায়ন করা ও সৃষ্টি করা। বাংলাদেশে শেষের তিনটিকে উচ্চতর দক্ষতা নাম দিয়ে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের চারটি ভাগ করা হয়। এজন্য দেশব্যাপী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। বর্তমানে যে মাল্টিমিডিয়ায় ক্লাস নেওয়া হচ্ছে এবং অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে পাঠদান করা হচ্ছে তাও এই কাঠামোবদ্ধ বা সৃজনশীল প্রশ্নকে ঘিরে। আমরা প্রথমে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির আলোচনা করব, তারপর অংশগ্রহণমূল...

সজীব ওয়াজেদ : অজানা তথ্য

Image
সজীব ওয়াজেদ সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জন্মঃ ২৭ জুলাই ১৯৭১) হলেন একজন বাংলাদেশী আইসিটি পরামর্শক। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং বাংলাদেশের জাতির জ নক শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র। জয় ২৭ জুলাই ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে জন্ম নেন। তার বাবা এম এ ওয়াজেদ মিয়া , একজন খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী এবং মা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তার নানা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । ১৯৭৫ সালে তার নানা শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা হওয়ার পরে, জয় মায়ের সাথে জার্মানী এবং লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ফলে তার শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে ভারতে। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ হতে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি স্হায়ীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বাস করছেন। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, জয়কে পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্...

উপনদী, শাখা নদী, নদী অববাহিকা, নদীর মোহনা কী বা কাকে বলে?

উপনদী, শাখা নদী, নদী অববাহিকা, নদীর মোহনা উপনদী:  উৎস অঞ্চল হতে উৎপন্ন হয়ে কোনো ছোট নদী বড় নদী বা নদীতে পতিত হলে তাকে বড় নদীর উপনদী বলে।  যেমন- তিস্তা নদী একটি উপনদী। শাখা নদী: যে নদী কোন বড় নদী বা মূল নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে সাগর বা হ্রদে পতিত হয় তাকে শাখানদী বলে।  যেমন- মধুমতি পদ্মার একটি শাখা নদী । নদী অববাহিকা:   মূল নদী, উপনদী ও শাখা নদী প্রবাহিত সমগ্র ভূ-ভাগকে নদী অববাহিকা বলা হয়। প্রতিটি নদী অববাহিকার একটি নিজস্ব ভৌগলিক এলাকা আছে। যা পানি পর্যঙ্ক নামে পরিচিত। প্রতিটি নদী অববাহিকা তার নিজস্ব ভৌগোলিক এলাকার পানি নিষ্কাশন করে । নদীর মোহনা:   নদী যখন কোনো সাগর বা হ্রদে পতিত হয় তখন সেই পতিত স্থানকে মোহনা বলে । ধন্যবাদ। দিগন্ত কুমার রায় (প্রভাষক) গাজীপুর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ।  

নদীর উৎপত্তি বা নদীর সৃষ্টি ব্যাখ্যা করো

  নদীর উৎপত্তি বা নদীর সৃষ্টি নদীর উৎপত্তির জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ও ঢালু জায়গা একান্ত প্রয়োজন। উচ্চভূমি, পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টির পানি, বরফ গলা পানি পাওয়া যায় বলে পৃথিবীর বেশিরভাগ নদী পার্বত্য অঞ্চল হতে উৎপত্তি লাভ করছে। ইহা ছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে প্রস্রবণ ও হ্রদের পানি থেকেও নদীর সৃষ্টি হয়ে থাকে। পানির ধর্ম নিম্নগামী হওয়ার জন্য সকল নদী ভূমির ঢাল অনুসারে নিচের দিকে প্রবাহিত হয়ে সাগর অথবা অন্য কোন নদীতে গিয়ে পড়ে। কঠিন শিলা বিশিষ্ট স্থানে পানি ধারা খাত সৃষ্টি করতে পারে না। তাই নদী প্রবাহিত অঞ্চলে শিলাস্তর নরম প্রকৃতির না হলে নদী সৃষ্টিতে বিঘ্ন ঘটে।

নদী কী কাকে বলে?

নদী কী? বা কাকে বলে? সংজ্ঞা: নদী হলো ভূপৃষ্ঠের উপর নির্দিষ্ট পথে প্রবাহিত পানির ধারা। উঁচু পর্বত, মালভূমি হতে বৃষ্টি, ঝরনা, হিমবাহ বা তুষার গলা পানি ঢাল দিয়ে একটি নির্দিষ্ট খাতে নিচের দিকে প্রবাহিত হয়ে সাগর বা হ্রদে পতিত হয় তাকে নদী বলা হয়। যেমন- যমুনা, পদ্মা।

শিলা কি? শিলার শ্রেণিবিভাগ দেখাও।

  শিলা কি? শিলার শ্রেণিবিভাগ। শিলা:  ভূ-ত্বক যেসব উপাদানে গঠিত তাদেরকে সাধারণভাবে শিলা বলা হয়। শিলা বলতে সাধারণভাবে কঠিন পাথরকেই বোঝায় না; কাঁদা, পলি, পাথর কাঁকড়, বালি প্রভৃতিও শিলার অন্তর্গত।  অন্য কথায়, বিভিন্ন প্রকার খণিজ প্রাকৃতিক উপায়ে একত্রিত হয়ে যে পদার্থ গঠন করে তাকে শিলা বলে। শিলার শ্রেণিবিভাগ:  উৎপত্তির বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে শিলার শ্রেণীবিভাগ:   ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন প্রকার শিলা দেখা যায় । তবে উৎপত্তিগত প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে ভূপৃষ্ঠের শিলাগুলোকে নিম্নলিখিত তিনটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।  যথা- 1. আগ্নেয় শিলা  ।          2.পাললিক শিলা ।          3. রূপান্তরিত শিলা । আগ্নেয় শিলা পৃথিবী উত্তপ্ত , তরল অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণের ফলে শীতল ও কঠিন হওয়ার সময় গলিত মিশ্রিত খনিজ পদার্থগুলো জমাট বেধে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে। আগ্নেয় অবস্থা থেকে এ শিলা সৃষ্টি হয়েছে বলে একে আগ্নেয় শিলা বলা হয়। আবার এ শিলা সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয়...

খনিজ কি? খনিজের বৈশিষ্ট্য লেখ?

 খনিজ কি? খনিজের বৈশিষ্ট্য লিখ।   খনিজ কি? কয়েকটি মৌলিক পদার্থ প্রাকৃতিক উপায়ে মিলিত হয়ে যে একটি যৌগিক পদার্থের সৃষ্টি করে তাকে খনিজ বলে। ইহা স্বাভাবিকভাবে সৃষ্ট এমন একটি সমস্বত্বের অজৈব পদার্থ যার সাধারণত একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক মিশ্রণ এবং একটি পারমাণবিক গঠন থাকে। কোন কোন খনিজ কেবলমাত্র একটি মৌলিক উপাদানে গঠিত। যেমন স্বর্ণ,রৌপ্য, তাম্র, হীরক, গন্ধক প্রভৃতি। তবে বেশিরভাগ খনিজ দুই বা ততোধিক মৌলিক উপাদানের সংমিশ্রণে গঠিত।  খনিজের বৈশিষ্ট্য: খনিজের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে তার রঙ, কাঠিন্,য আপেক্ষিক গুরুত্ব, খণ্ডায়ন বা রাসায়নিক সমীকরণ ইত্যাদি প্রধান। এজন্য তার কতিপয় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও রাসায়নিক গঠনের দ্বারা চিনতে পারা যায়। তবে পৃথিবীর বুকে অসংখ্য খনিজ পদার্থ রয়েছে যাদের প্রত্যেকের একটি নিজস্ব রাসানিক সমীকরণ ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  নিম্নে খনিজের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ প্রদত্ত হলো--  1. খনিজ একটি একক মৌলিক উপাদান হতে পারে। যেমন স্বর্ণ-রৌপ্য, তাম্র, সালফার ইত্যাদি। 2.  সকল খনিজের কিছু সংখ্যক ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম আছে। 3. স্ফটিক আকারে পরমাণু য...

ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ মোটরসাইকেল

Image
মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি নিজের একটি বাইক থাকবে, ঐ বাইক চালাবো এমন স্বপ্ন কে না দেখে? অনেকের হয়তো স্বপ্নের বাইকটি আছে কিন্তু বৈধভাবে বাইক চালানোর অনুমতি তথা ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই। নিশ্চয় জানেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো আইনত দন্ডনীয় অপরাধ । তাহলে কি করতে হবে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে? সে বিষয়েই আজকে আলোচনা করবো বিস্তারিত। ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে পাবেন? ১/ প্রথমে লাইসেন্স প্রত্যাশীকে তার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা (প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ) বিআরটিএ’র যে সার্কেলের আওতাভূক্ত তাকে সেই সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে একটি শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে যা দিয়ে আবেদনকারী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে। ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখ...

ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর

ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ প্রশ্ন ব্যাংক  ও  উত্তর ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর ০১. প্রশ্ন : মোটরযান কাকে বলে ? উত্তর ঃ মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে। ০২. প্রশ্ন : গাড়ি চালনার আগে করণীয় কাজ কী কী ? উত্তর ঃ  ক. গাড়ির হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্সটোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইনসিওরেন্স (বিমা) সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ইত্যাদি) গাড়ির সঙ্গে রাখা। খ. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া। গ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া। ঘ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা। ঙ. লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া। চ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া। ছ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, নাট-বোল্ট টাইট আছে কি না অর্থাৎ সা...