Posts

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ / ৭ মার্চ ও বঙ্গবন্ধু

 বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ / ৭ মার্চ ও বঙ্গবন্ধু ১০০ বছর আগে। তখন বাংলাদেশের জন্ম হয়নি, ভারতবর্ষ ফুঁসছে। একদিকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সশস্ত্র লড়াই, অন্যদিকে গাঁধীর অহিংস আন্দোলনের পথে স্বাধীনতার আন্দোলন। সেই সময়েই ১৯২০-র ১৭ মার্চ এই জনপদে একটি শিশুর জন্ম হল। এখনকার বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার বর্তমানে জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে শিশুটির বাবা শেখ লুৎফর রহমান-মা মোসাম্মৎ সাহারা খাতুন। তাঁদের ছয় সন্তানের মাঝের তৃতীয় সন্তানই শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর আদরের ডাকনাম, খোকা। ৭ বছরে সেই খোকা ভর্তি হল স্থানীয় গিমাডাঙা প্রাইমারি স্কুলে, নয় বছর বয়সে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি, পরে স্থানীয় মিশনারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ১৪ বছর বয়সে ভয়ানক বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিশোর মুজিব, কলকাতায় তাঁর একটি চোখের অপারেশন করার পর চার বছর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়েছিল মুজিবের। তারপর আবার স্কুলে ভর্তি হয়ে নতুন করে শিক্ষাজীবনের শুরু। ১৯৩৮ সালে ১৮ বছর বয়সে মুজিবের ও বেগম ফজিলাতুন্নেছার বিয়েহয়েছিল। ১৯৩৯ সালে সে সময়ের অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্...

"মাত্র" কেন লিখতে হয়, টাকার পরিমাণ লেখার পর? অথবা অংকে কোনো পরিমান লিখার পর এই "/= " চিহ্ন দিতে হয় কেন?

  "মাত্র" কেন লিখতে হয়, টাকার পরিমাণ লেখার পর? অথবা অংকে কোনো পরিমান লিখার পর এই "/= " চিহ্ন দিতে হয় কেন? পঞ্চাশ টাকা লিখার পর মাত্র লিখি আবার কোটি  টাকা লিখার পরও মাত্র লিখি। কথা হলো এতগুলো টাকার পরিমান লিখার পর "মাত্র" কেন লিখতে হয়? অথবা অংকে কোনো পরিমান লিখার পর এই "/= " চিহ্ন দিতে হয় কেন?? টাকার পরিমান যাই হোক না কেন শেষে মাত্র লেখার একমাত্র কারণ হলো, নির্দিষ্টতা। ‘মাত্র’ দ্বারা বোঝায় এর সর্বশেষ সিলিং। যেমন ধরুন পঞ্চাশ হাজার টাকা মাত্র, মানে পঞ্চাশ হাজার টাকার এক টাকা কমও না আবার এক টাকা বেশিও না। আর তাছাড়া চেক প্রদানকারী ধরুন শুধু ৫০০০০ টাকা লিখে দিলেন, আর চেক গ্রহীতার অসদাচরণের কারণে সেখানে যদি একটা শূন্য বেশি দেয়া হয় তাহলে তো পুরাই ধরা ! তাই মাত্র লিখে অথবা এমাউন্ট লিখার পর এই " /= " চিহ্ন দেয়ার একমাত্র কারণ যাতে আর কোনোভাবেই সেখানে কোনো রকম কারচুপির করার সুযোগ না থাকে। অর্থাৎ এটি প্রতারণা থেকে বাঁচবার একটি অন্যতম ফাঁদও বলতে পারেন। অবশ্যই চেকে বা ডিপোজিট স্লিপে মাত্র লিখবেন, সাথে এমাউন্ট লেখার পর লম্বা টানে ...

মরণোত্তর দেহদান কি, কোথায় করবেন?

মরণোত্তর দেহদানে মানব কল্যাণ   মানুষের মৃত্যুর পর অসার, নিষ্পন্দ দেহখানি কবরের মাটিতে গলে মিশে যায়। অথবা সম্প্রদায় বিশেষে অগ্নিদাহ হয়ে ছাইভষ্মে পরিণত হয়। মানবদেহে র মতো মূল্যবান একটি সম্পদের এভাবে অপচয় হওয়া সমর্থন করা যায় না, যুক্তিযুক্তও নয়। যে কোনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ জীবদ্দশায় যেমন তেমনি মৃত্যুর পরও মানব কল্যাণে অবদান রাখতে পারেন। মরণোত্তর দেহ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে দান করে এই কল্যাণ সাধনের সুযোগ রয়েছে। মৃত্যুর ছয় ঘন্টার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতালে দেহ পৌঁছালে ১৪টি অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যায় । অর্থাৎ একটি প্রানহীন দেহ ১৪ জন বা ততোধিক বিকলাঙ্গকে সচল করতে পারে। মরণোত্তর দেহদানের প্রক্রিয়াটি খুব জটিল কিছু নয়। অঙ্গীকার পত্র ও হলফনামায় সম্মতিদানের মাধ্যমে নোটারি-পাবলিক করলেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়াকে আমরা আরো সহজতর করার চেষ্টা করছি । আগ্রহী যে কেউ আমাদের অফিসে ব্যক্তিগতভাবে অথবা টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা চাইলে আমরা ফর্ম পাঠাতে পারি, ওটা পূরণ করে স্বাক্ষর ও ছবি সংযুক্ত করে পাঠিয়ে দিন। ফর্মের সফট কপি, স্ট্যাম্প ও নোটারী ব্যয় বাবদ ৫০০ টাকা ...